সবসময়ের জন্যেই সেরা
খেলোয়াড় অনেক, কিন্তু মাঠ ছোট। এই ছিল আগের বাস্তবতা। চিন্তা করা হলো ইনটডোর গেমগুলোর মধ্যে কোনটা একটু কম জায়গা হলেও ভালোভাবে খেলা যায়। এভাবেই কসমো স্কুলে শুরু হলো জিমনাস্টিকস ।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের জিমনাস্টিকস বিভাগ যাত্রা শুরু করে ২০১২ সালে। সে বছর বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন থেকে প্রেরিত জাতীয় দলের কোচের কাছে শেখার জন্যে ৫০ জন ক্ষুদে কোয়ান্টাকে বাছাই করা হয়। বছরজুড়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে স্থাপিত একটি অস্থায়ী জিমনেসিয়ামে চলে তাদের প্রশিক্ষণ।
যে-সব দেশে এ খেলার প্রচলন রয়েছে, তাদের মধ্যে পোল্যান্ড সাইপ্রাস রোমানিয়া রাশিয়া ইউক্রেন মলদোভা বেলারুশ গ্রিস যুক্তরাজ্য তুরস্ক জর্জিয়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে জিমনাস্টিকস খেলা প্রবর্তন হয় ১৯৮২ সালে। জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বর্তমান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) এর তৎকালীন সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে বাংলাদেশ জিমনাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) এম এ হামিদ ছিলেন এ খেলার উদ্যোক্তা।
একনজরে কসমো স্কুল জিমনাস্টিকস
একনজরে কসমো স্কুল জিমনাস্টিকসজিমন্যাস্টিকস যাত্রা শুরু :
কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের জিমনাস্টিকস বিভাগ যাত্রা শুরু করে ২০১২ সালে। সে বছর বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন থেকে প্রেরিত জাতীয় দলের কোচের কাছে শেখার জন্যে ৫০ জন ক্ষুদে কোয়ান্টাকে বাছাই করা হয়। বছরজুড়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে স্থাপিত একটি অস্থায়ী জিমনেসিয়ামে চলে তাদের প্রশিক্ষণ।
জিমন্যাস্টিকস সদস্য সংখ্যা :
বালক (৫৫)
বালিকা (২৫)
বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা :
২০১৬ সালের বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় ৩৬টি পদকের ২৯টিই অর্জন করে কোয়ান্টারা
কসমো স্কুলের কয়েকজন চৌকস জিমন্যাস্ট :
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জিমনাস্টিকস প্রতিযোগিতা। এতে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে অংশ নেয় কসমো স্কুলের ১৬জিমনাস্টিকস খেলোয়াড়। ৪৫টি জেলার মধ্যে সপ্তম হয় রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
২১ তম জাতীয় জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস :
২০১৯ সালে ২১ তম জাতীয় জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ৭ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৪ সোনা , ১ রুপা ও ২ ব্রোঞ্জ ।
১৬ তম সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিকস :
২০১৯ সালে বয়সভিত্তিক বিজয় দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ২১ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৯ সোনা , ৫ রুপা ও ৭ ব্রোঞ্জ ।
৩৬ তম জাতীয় সিনিয়র জিমন্যাস্টিকস :
২০১৯ সালে বয়সভিত্তিক বিজয় দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ৫ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ২ সোনা , ১ রুপা ও ২ ব্রোঞ্জ ।
বয়সভিত্তিক জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা :
২০১৩ , ২০১৪ ও ২০১৬ সালে বয়সভিত্তিক জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ৪৮ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৮ সোনা , ৯ রুপা ও ৭ ব্রোঞ্জ ।
স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস :
২০১৫ সালে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে্য আয়োজিত প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ২০ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ১৬ সোনা , ১৯ রুপা ও ১৭ রোঞ্জ ।
বর্ষাকালীন জিমন্যাস্টিকস :
২০১৩ ও ২০১৪ সালে বয়সভিত্তিক জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ১৫ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৭ সোনা , ৭ রুপা ও ১ ব্রোঞ্জ ।
৩য় বয়সভিত্তিক জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা:
২০১৭ সালে ৩য় বয়সভিত্তিক জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ৩২ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ১১ সোনা , ১০ রুপা ও ১১ ব্রোঞ্জ ।
জাতীয় জিমন্যাস্টিকস:
২০১৭ সালে জাতীয় জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ২ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ১ রুপা ও ১ ব্রোঞ্জ ।
বিজয় দিবস জিমন্যাস্টিকস :
২০১৭ সালে বিজয় দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ১৮ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৬ সোনা , ৬ রুপা ও ৬ ব্রোঞ্জ ।
বিকেএসপি তৃণমূল কাপ :
২০১৮ সালে বিকেএসপি তৃণমূল কাপ জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ২৪ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ৯ সোনা , ৭ রুপা ও ৮ ব্রোঞ্জ ।
১৫ তম সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিকস :
২০১৮ সালে ১৫ তম সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ১ পদক অর্জন করে । যার ১ ব্রোঞ্জ ।
৪র্থ বয়স ভিত্তিক জিমন্যাস্টিকস :
২০১৯ সালে ৪র্থ বয়স ভিত্তিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল মোট ৬ পদক অর্জন করে । যার মধ্যে ২ সোনা , ২ রুপা ও ২ ব্রোঞ্জ ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কসমো স্কুল জিমন্যাস্টিকস:
২০১৮ থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের জিমন্যাস্টিকস দল। এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় কোয়ান্টা সাংখে অং খুমি। আর জুনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ওপেন জিমন্যাস্টিকসে অংশ নেয় ক্ষুদে কোয়ান্টা জিমন্যাস্ট উইাই মং মার্মা। এতে ভল্টিং টেবিল ইভেন্টে সে অর্জন করে ব্রোঞ্জপদক।
জিমনেসিয়াম :
অলিম্পিকে সোনাজয়ের মনছবি কোয়ান্টাদের। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার জন্যে আন্তর্জাতিক মানের কোনো জিমনেসিয়াম এতদিন লামায় ছিল না। অবকাঠামোগত এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই অনুশীলন করতে হচ্ছিল তাদের। এমনও হয়েছে প্রতিযোগিতার জন্যে ঢাকায় এসে এমন একটি ইভেন্টে তারা অংশ নিয়েছে যার ইনস্ট্রুমেন্ট লামায় নেই। ঢাকায় জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের ইনস্ট্রুমেন্টে মাত্র চারদিন প্রাকটিস করার সুযোগ পেয়েছে। আর তাতেই ঐ ইভেন্টে রুপা এবং ব্রোঞ্জ জিতেছে ওরা।
আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়াম নির্মাণ :
অবশ্য সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা সুবিধাটা দেয়ারই চেষ্টা করেছে কোয়ান্টাম সবসময়। অবশেষে সামর্থ্য যখন হলো, সেই ২০১৭ সাল থেকে লামায় শুরু হলো একটি আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়াম নির্মাণের কাজ। নিজস্ব অর্থায়নেই খ্যাতনামা একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এখন চলছে এর নির্মাণকাজ। ৪০ ফুট উঁচু ও ১২৮০০ বর্গফুট (১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮০ ফুট প্রস্থ) আয়তনের এই ভবনটিকে এমনভাবেই তৈরি করা হচ্ছে যাতে ফ্লোর, পোমেল হর্স, রিংস, ভল্ট, প্যারালাল ও হরাইজন্টাল বার- অলিম্পিকের এই ছটি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা করার মতো আন্তর্জাতিক মানে তারা তৈরি হতে পারে।