ভলিবল
কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ভলিবল বিভাগ যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। সে বছর বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন থেকে প্রেরিত জাতীয় দলের কোচের কাছে শেখার জন্যে ৫০ জন ক্ষুদে কোয়ান্টাকে বাছাই করা হয়। বছরজুড়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে স্থাপিত একটি অস্থায়ী মাঠে চলে তাদের প্রশিক্ষণ।
যে-সব দেশে এ খেলার প্রচলন রয়েছে, তাদের মধ্যে ব্রাজিল পোল্যান্ড সাইপ্রাস রোমানিয়া রাশিয়া ইউক্রেন মলদোভা বেলারুশ গ্রিস যুক্তরাজ্য তুরস্ক জর্জিয়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উল্লেখযোগ্য।
একনজরে কসমো স্কুল ভলিবল
একনজরে কসমো স্কুল ভলিবলযাত্রা শুরু :
কসমো ভলিবল টিমের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। ৫০ জন কোয়ান্টাকে বাছাই করে তাদের ভলিবল খেলা শেখানো হয়।
ভলিবল সদস্য সংখ্যা :
বড় বালক (৪৮)
ছোট বালক (৪১)
বালিকা (৩৬)
জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা:
ভলিবল শুরু হওয়ার এক বছরের মধ্যেই কোয়ান্টারা জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শুরু করে এবং প্রতিবছরই তারা প্রথম হয়ে আসছে। তাদের এ সাফল্য এখনো অব্যবাহত আছে।
৪৯ তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- ২০২০(বালক):
মাওলানা কসিমউদ্দিন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁপা অঞ্চল) –এর বিপক্ষে প্রথম সেটে কোয়ান্টারা ২৫-২০ পয়েন্টে জয়লাভ করলেও দ্বিতীয় সেটে ২২-২৫ পয়েন্টে হেরে যায়। তৃতীয় সেট ১৫-১২ পয়েন্টে জিতে কোয়ান্টারা ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করে।দ্বিতীয় ম্যাচে নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (গোলাপ অঞ্চল)–কে প্রথম সেটে ২৫-৯ ও দ্বিতীয় সেটে ২৫-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ।তৃতীয় ম্যাচে পদ্ম অঞ্চলের (ঢাকা-ময়মনসিংহ) চ্যাম্পিয়ন দলের মুখোমুখি হয় কোয়ান্টারা। হাড্ডাহাডি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম সেটে কোয়ান্টারা ১৯-২৫ পয়েন্টে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় সেটে ২৫-১১ পয়েন্টে এবং শেষ সেটে ১৫-১১ পয়েন্টে কোয়ান্টারা জয়লাভ করে। পরপর তিনবার ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ।
প্রথমবারের মতো বালিকা ভলিবল আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন :
কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের বালিকা ভলিবল টিম গঠিত হয় ২০১৯ সালে শিশুসদনের ২৩ জন বালিকা কোয়ান্টাকে নিয়ে। চলতে থাকে তাদের নিয়মিত অনুশীলন। ২০১৯ সালে তারা প্রথম অবতীর্ণ হয় প্রথম কোনো জাতীয় প্রতিযোগিতায়। ৪৮ তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রতিটি খেলায় বিপুল ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে তারা অঞ্চল পর্যায়ে উন্নীত হয়। জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তারা মুখোমুখি হয় অঞ্চল পর্যায়ের। কিন্তু বয়সে বড় (কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেশাজীবী খেলোয়াড়সমৃদ্ধ) এসব দলের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে তারা পড়ে এবং অঞ্চল পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়। এর পর থেকে ২০২০ ,২০২২ ও ২০২৩ এ তানা তিন বছর প্রথম স্থান অধিকার করে।