মেধাসৃজন
কোয়ান্টামম সফরকালে মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান : সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক কসমো স্কুলের মতো।
সারাদেশের সবগুলো স্কুল যদি কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের মতো করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এখানকার শিশুদের মানবিক মূল্যবোধ অনেক উচ্চমানের। তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দেয়ার শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে। যা বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় না। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ তাই আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
২৫ ও ২৬ এপ্রিল ২০১৭ দুদিনের সফরে বান্দরবানের লামাস্থ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ পরিদর্শনকালে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপি। ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫.৩০ মিনিটে মাননীয় মন্ত্রী লামায় পৌঁছান। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী রেজিনা রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ
কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় বান্দরবান জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং শিশু কোয়ান্টারা তাকে স্বাগত জানায়। সন্ধ্যায় কোয়ান্টামমের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র সৈয়দ হক মঞ্চে তার সম্মানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাদের সাবলীল ও মনোরম পরিবেশনা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। কোয়ান্টাদের উদ্দেশ্যে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা দেখে মনে হচ্ছে তাদের নামীদামি দেশের প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। অথচ এখানকার শিক্ষকরাই তাদের সমস্ত মনপ্রাণ উজাড় করে এই শিশুদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
কসমো মেধাসৃজন
কসমো মেধাসৃজনমেধাসৃজন :
২৬ এপ্রিল ভোরে মাননীয় মন্ত্রী কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর সফরসঙ্গীদের নিয়ে তিনি আরোগ্যশালার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে টিটি ভবনে ফেন্সার কোয়ান্টাদের অসিচালনা খেলা উপভোগ করেন। আরোগ্যশালায় পৌঁছে শুকরিয়ার মেডিটেশনে আত্মনিমগ্ন হন মাননীয় মন্ত্রী। বাংলোতে ফেরার পথে ব্যাম্বোরিয়াম ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।এরপর জিমন্যাস্টিকস হলে জিমন্যাস্টিকস ও জুডোর প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কোয়ান্টাদের পারফরম্যান্স উপভোগ করেন তিনি। এরপর ভ্যালি ইকরান ক্যাম্পাসে মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীকে বিউগল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানায় কোয়ান্টা বাদক দল এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের চৌকস প্যারেড ও ব্যান্ড দল। কোয়ান্টাদের ডিসপ্লে, ব্যান্ড ও ড্রাম শোতে অনবদ্য নৈপুণ্য মুগ্ধ করে মাননীয় মন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) থোয়াইহ্লা মং মার্মা, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক রাশেদা বেগম (ভারপ্রাপ্ত), বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, লামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাবু তিনকড়ি চক্রবর্তী।প্যারেড ও ডিসপ্লে পরিদর্শনের পর মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী কোয়ান্টাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে মমতা দিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলকে গড়ে তোলা হয়েছে তা দেখে বিস্মিত হতে হয়। এখানকার শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে এমনভাবে পারদর্শী করে তোলা হচ্ছে যে বড় হয়ে তারা পৃথিবী জয় করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।সফর শেষে বিদায়কালে মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান কোয়ান্টামমের মন্তব্য খাতায় লেখেন, গুরুজীর এই স্কুলের অতিথিশালায় রাত্রিযাপনসহ প্রায় ২২ ঘন্টা অবস্থান করলাম। স্কুলটির পরিচালনা পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী ব্যবস্থাপনা, পড়াশোনাসহ পাঠ্যক্রম দেখলাম। চোখে না দেখলে এত সুন্দর ও মানসম্পন্ন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ আমাদের দেশে আছে তা বিশ্বাস করা কঠিন। মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান-এর এই সফর এবং তার সান্নিধ্য কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।